খেজুর একটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। শরীর সুস্থ এবং ফিটনেস রাখতে এর উপকারিতা অনেক।প্রতিদিন সকালে ৪-৫ টি খেজুর খেলে শরীরের অনেক উপকার হয় । এটি এমন একটি ফল যা কিনা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম ,প্রোটিন ,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিংক, পটাসিয়াম । খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরের আয়রনের ১১ ভাগই  পূরন করে । সকালে খেজুর খেতে পারেন এবং রমজানে ইফতারে খেজুর খেতে পারেন ।

আসুন জেনে নিই খেজুরের ০৮ টি কার্যকরী উপকারিতা ....

১. শরীর দূর্বলতায়

কোনো প্ররিশ্রম করার পর ক্লান্ত হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিন দেখবেন শরীরে শক্তি ফিরে পাবেন ।

২.হজম শক্তি 

হজম শক্তি বাড়াতে খেজুরের কোনো বিকল্প নাই । খেজুরে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের অযমিনো এসিড  যা খাবার হজম করতে  সাহায্য করে ।

৩. রক্ত শূন্যতায়

খেজুর লৌহ সমৃদ্ধ ফল রক্ত শূন্যতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । প্রতিদিন খেজুর খেলে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের  হাত থেকে রক্ষা করে ।

৪. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেম কে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণায় দেখা গেছে , খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোকের ভয়াবহতাকে  ৪০% কমিয়ে দেয়।

৫. সুস্বাস্থ্য বজায়

মানসম্মত স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খেজুর বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে জুড়ি নেই।

৬. বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ

উচ্চমাত্রার শর্করা ক্যালোরি ও ফ্ল্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ,গনোরিয়া, কণ্ঠনালীর ব্যাথা বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধের বেশ কার্যকরী ।

৭. পেশী গঠনে সহায়তা

প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান । খেজুর হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে আমাদের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে এবং খুব অপরিহার্য প্রোটিন  সরবরাহ করে।

৮. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি

খেজুরের হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা  আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। ভিটামিন এ১ এবং সি পাওয়ার আরো একটি সহজ মাধ্যম আছে খেজুর। খেজুর খেলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।



সবাই সুস্থ থাকুন ,,

ধন্যবাদ,

Post a Comment

Previous Post Next Post